দেবাশীষ পাল ( মালদা ) : ।অবশেষে খবরের জেরে নড়েচরে বসল প্রশাসন শুরু হলো ভাঙ্গন রোধে কাজ। কয়দিন আগে খবরে মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছিল বামনগোলা ব্লকে নালাগোলা নদী ভাঙ্গনের খবর।ভাঙ্গনের জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। গত বছর থেকে পাড় কাটছে অখ্যাত ব্রাহ্মণী। ইতিমধ্যে নদীতে তলিয়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ি। নদী ভাঙনের ফলে বেশ কয়েকটি বাড়ির অর্ধেক অংশ নদীতে। এবারও শুরু হয়েছে ব্রাহ্মণীর ভাঙন। আশঙ্কায় দিন ও রাত কাটাচ্ছিল অন্তত ৩০টি পরিবার। আশঙ্কা রয়েছে আরও অনেকের। গোটা বিষয়টি জানানো হয় বিডিও, এমনকি এসডিও দপ্তরেও। কিন্তু ভাঙন আটকানোর কাজ শুরু হয়নি । অবশেষে খবরে মাধ্যমে প্রকাশে আসতেই শুরু কাজ বামনগোলা ব্লকের নালাগোলার মন্দিরপাড়ায়।
ওই গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মী পাল অসুস্থ। উচ্চ রক্তাচাপ, হাই ব্লাড সুগার সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত তিনি। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে অন্যত্র রয়েছেন। গতবারই নদীর ভাঙ্গনে বাড়ির একাংশ ধসে গিয়েছে। ঋণ নিয়ে একটি শৌচাগার বানিয়েছিলেন। সেটিও ধসে গিয়েছে। অথচ তার ঋণ এখনও পরিশোধ করতে পারিনি। মাস খানেক ধরে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। অবশেষে বামনগোলা থানার পুলিশ নিজেরাই হাত লাগালেন ভাঙ্গন রোধের কাজে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন এলাকায় ভাঙন রোধ করতে বালির বস্তা ফেলা হয়।বামনগোলা থানার পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় এই ভাবে এগিয়ে আসার এলাকায় কাজ শুরু করা হয় ।